তুলসী পাতা শুধু একটি সুগন্ধি ভেষজ নয়, বরং এর অসাধারণ ঔষধি গুণাবলীও রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই তুলসী বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আসুন, তুলসী পাতার ঔষধি গুণাবলীর কিছু উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক:
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: তুলসী পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তুলসী নিয়মিত খেলে সর্দি, কাশি, জ্বর, ফ্লু ইত্যাদি সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
২) ঠান্ডা ও কাশির চিকিৎসা: তুলসী পাতার রস ঠান্ডা ও কাশির চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। তুলসী পাতা, আদা এবং মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে কাশি ও গলা ব্যথা দ্রুত ভালো হয়।
৩) জ্বর কমানো: তুলসী পাতার জ্বরনাশক गुण রয়েছে। তুলসী পাতা ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে জ্বর দ্রুত কমে।
৪) হজমশক্তি উন্নত: তুলসী পাতা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা খেলে অম্বল, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।
৫) ত্বকের যত্ন: তুলসী পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী পাতার রস ত্বকে লাগালে ব্রণ, ফুসকুড়ি, চুলকানি ইত্যাদি ত্বকের সমস্যা দূর হয়।
৬) চুলের যত্ন: তুলসী পাতা চুলের জন্যও খুবই উপকারী। তুলসী পাতার রস মাথায় লাগালে চুল পড়া কমে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।
৭) মুখের যত্ন: তুলসী পাতা মুখের যত্নেও ব্যবহার করা হয়। তুলসী পাতা মুখে ঘষলে মুখের দাগ-ধামা দূর হয় এবং মুখ উজ্জ্বল হয়।
৮) মানসিক চাপ কমাতে: তুলসী পাতা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে।
৯) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: তুলসী পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১০) ক্যান্সার প্রতিরোধে: তুলসী পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে