হেমন্ত কালে কি কি উৎসব হয়?

পাবলিশঃ 11 months ago
দেখেছেনঃ 1150

হেমন্ত কালে কি কি উৎসব হয়?

হেমন্তের উৎসব:

হেমন্ত, শরতের পরবর্তী ঋতু, উৎসবের ঋতু হিসেবে খ্যাত। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে এই ঋতু ধরে, প্রকৃতি নবরূপে সেজে ওঠে, ফসল ঘরে আসে, আর মানুষ উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে।


হেমন্তের উল্লেখযোগ্য উৎসবগুলি হল:


১) নবান্ন:


নবান্ন, বাংলার অন্যতম প্রধান উৎসব, হেমন্তের কেন্দ্রবিন্দু। নতুন ধান কাটার পর সেই ধান দিয়ে প্রস্তুত পায়েস খাওয়ার মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হয়। গ্রামে গঞ্জে, সর্বত্রই নবান্নের আয়োজন করা হয়।


২) লক্ষ্মীপূজা:


দীপাবলির পরের দিন, অর্থাৎ কার্তিক অমাবস্যায় লক্ষ্মীপূজা পালিত হয়। দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয় এবং রাতে ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোক উৎসব পালিত হয়।


৩) কালীপূজা:


কার্তিক মাসের শেষ দিকে কালীপূজা পালিত হয়। দেবী কালীর বিশেষ পূজা করা হয় এবং রাতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।


৪) ভাই ফোঁটা:


কার্তিক পূর্ণিমায় ভাই ফোঁটা উৎসব পালিত হয়। ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে তিলক পরিয়ে দেয়।


৫) জামাই ষষ্ঠী:


কার্তিক মাসের শুক্ল ষষ্ঠীতে জামাই ষষ্ঠী উৎসব পালিত হয়। এই দিনে শ্বশুরবাড়িতে জামাইদের বিশেষ আপ্যায়ন করা হয়।


৬) নবীন পূজা:


কার্তিক মাসের শুক্ল ষষ্ঠীতে নবীন পূজা পালিত হয়। কৃষিক্ষেত্রে নতুন ধানের চারা রোপণের পূর্বে এই পূজা করা হয়।


৭) গাজন উৎসব:


কার্তিক মাসের শেষ দিকে গাজন উৎসব পালিত হয়। রামলীলা, গান, বাজনা, নাচের মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হয়।


৮) দোলযাত্রা:


হেমন্তের শেষে, অগ্রহায়ণ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমীতে দোলযাত্রা উৎসব পালিত হয়। এই দিনে ভক্তরা রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা করে এবং রঙের খেলায় মেতে ওঠে।


৯) নববর্ষ:


বাংলা নববর্ষ, যা পহেলা বৈশাখে পালিত হয়, হেমন্তের শেষে অগ্রহায়ণ মাসে নির্ধারণ করা হয়।


উপসংহার:


হেমন্ত কেবল ঋতুই নয়, এটি উৎসবের ঋতু। প্রকৃতির সৌন্দর্য, নতুন ফসলের আনন্দ, এবং বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে এই ঋতু মানুষের জীবনে আনন্দের আমেজ এনে দেয়।

হেমন্ত কালের উৎসব

হেমন্ত হলো ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু, যা কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসের সমন্বয়ে গঠিত। শরৎকালের পর এই ঋতুর আগমন। হেমন্তে প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সেজে ওঠে। আকাশে মেঘের দেখা কমে যায়, সূর্যের আলো নরম হয়ে আসে। বাতাসে শীতের আমেজ আসতে শুরু করে। এই ঋতুতে ফুলের সমারোহ দেখা যায়। শিউলি, কামিনী, গন্ধরাজ, মল্লিকা, ছাতিম, দেবকাঞ্চন, হিমঝুরি, রাজঅশোক ইত্যাদি নানা ধরনের ফুল ফোটে। হেমন্তে বিভিন্ন ধরনের ফলের সমারোহ ঘটে। এ ঋতুর বিশেষ কিছু ফল হল- কামরাঙা, চালতা, আমলকী ও ডালিম।


হেমন্তকাল কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এই সময় আমন ধানের কাটা হয়। ফসল কাটাকে কেন্দ্র করেই হেমন্তে বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়।

হেমন্তে পালিত উল্লেখযোগ্য উৎসবগুলি হল:

  • নবান্ন উৎসব: নবান্ন হলো হেমন্তে পালিত একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই উৎসবটি আমন ধানের প্রথম ফসল কাটার পর পালিত হয়। এই উৎসবের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের ফসলের জন্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানান। নবান্ন উৎসবে নতুন ধানের চাল দিয়ে নানা ধরনের খাবার রান্না করা হয়। এই উৎসবটি গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে পালিত হয়।
  • অগ্রহায়ণী ব্রত: অগ্রহায়ণী ব্রত হলো হিন্দুধর্মের একটি ঐতিহ্যবাহী ব্রত। এই ব্রতটি অগ্রহায়ণ মাসে পালিত হয়। এই ব্রত পালনের মাধ্যমে নারীরা তাদের সন্তানদের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেন। অগ্রহায়ণী ব্রতের প্রধান উপকরণ হলো নতুন চালের গুঁড়া, চিনি, নারকেল, দুধ ইত্যাদি।
  • দেবী দুর্গার পুজো: দেবী দুর্গার পুজো হিন্দুধর্মের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই পুজো সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে পালিত হয়। এই উৎসবের মাধ্যমে দেবী দুর্গার জয় ও অসুরদের পরাজয়ের গল্প স্মরণ করা হয়। দেবী দুর্গার পুজো সারা ভারতে ব্যাপকভাবে পালিত হয়।
  • রবীন্দ্রজয়ন্তী: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, লেখক, দার্শনিক ও চিন্তাবিদ। তার জন্মদিন ২৫ বৈশাখ, যা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। রবীন্দ্রজয়ন্তী হেমন্তে পালিত হয়। এই দিনটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। রবীন্দ্রজয়ন্তী সারা ভারতে ব্যাপকভাবে পালিত হয়।

হেমন্তকাল কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এই সময় আমন ধানের কাটা হয়। ফসল কাটাকে কেন্দ্র করেই হেমন্তে বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবগুলি হেমন্তে আনন্দ ও উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

হেমন্ত কালে  নবান্ন উৎসব হয়।

হেমন্ত কাল বাংলা মাসের একটি ঋতু যা অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সম্পাদিত হয়। এই ঋতুটি ঠাণ্ডা সময়ে বিশেষভাবে মনে হয় এবং তাপমাত্রা নিছে যায়। প্রদূষণহীন প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্য, শীতল বাতাস, আকাশের প্রশান্ত নীল রঙ এবং ফুল ও ফসলের বিভিন্ন রঙবিশেষ হেমন্ত কালের চিহ্ন। এই ঋতুটি ভারত ও বাংলাদেশে প্রচলিত হয় এবং অনেকে এটিকে বিভিন্ন উৎসব এবং উৎসবের মধ্যে নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা দাঁড়ায়। হেমন্ত কালে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, ভাই ফোঁটা, পোহেলা বৈশাখ, পৌষ সংক্রান্তি উদযাপন ও বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব প্রচলিত হয়। এই সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পাল্লা পুজা, মেলা, প্রদর্শনী ইত্যাদি আয়োজিত হয় এবং মানুষরা উষ্ণতায় সংগঠিত হয় না প্রদয়ক সময়ে প্রতিদিনের জীবন দাঁড়ায় এবং উষ্ণ অঞ্চলে অনেক জায়গা থেকে দেখা যায় বিভিন্ন প্রকৃতির আনন্দময় দৃশ্য।

হেমন্তকাল সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন সমূহ

হেমন্ত কালে কি কি ফুল ফোটে ?
হেমন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য কি?
হেমন্তকাল এর দৃশ্য দেখতে কেমন?
হেমন্তকাল কে ঋতু রানী বলা হয় কেন?
হেমন্ত কালে কি কি উৎসব হয়?
হেমন্তকাল কে উৎসবের ঋতু বলা হয় কেনো?