হেমন্তকাল, শরতের পরবর্তী এবং শীতের পূর্ববর্তী ঋতু, ঋতুদের রাণী হিসেবে পরিচিত। এর অনেক কারণ রয়েছে:
মনোরম আবহাওয়া: হেমন্তের আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম। দিনগুলি হালকা রোদেলা, আকাশ পরিষ্কার নীল, এবং রাতগুলি শীতল। এই মনোরম আবহাওয়া অন্যান্য ঋতুর তীব্রতা থেকে রেহাই দিয়ে মনকে প্রশান্তি দেয়।
প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য: হেমন্তকালে প্রকৃতি এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। ধানক্ষেত সোনালী রঙে পূর্ণ, পাতা ঝরে গাছের ডালপালা নগ্ন, এবং ফুলের সমারোহ চোখে পড়ে। এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হেমন্তকে অনন্য করে তোলে।
উৎসবের আবহ: হেমন্তকালে দুর্গাপূজা, নবরাত্রি, দীপাবলি, এবং কালীপূজার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবগুলি ঋতুকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে।
সাহিত্য ও শিল্পে প্রভাব: হেমন্তকালের মনোরম পরিবেশ সাহিত্য ও শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করে। কবিরা এই ঋতুকে নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছেন, এবং শিল্পীরা চিত্রকর্ম তৈরি করেছেন।
স্বাস্থ্যকর ঋতু: হেমন্তকাল স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভালো ঋতু। এই ঋতুতে মশার উপদ্রব কম থাকে, এবং আবহাওয়া শরীরের জন্য উপকারী।
এই সকল কারণে হেমন্তকালকে ঋতু রানী বলা হয়। এই ঋতু শুধু মনোরমই নয়, বরং আনন্দ, উৎসব, সাহিত্য, শিল্প, এবং স্বাস্থ্যের সাথেও সম্পর্কিত।
হেমন্তকাল, তার অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং সৌন্দর্যের কারণে প্রায়ই "ঋতুর রাণী" হিসাবে পরিচিত। এই ঋতুতে, আবহাওয়া শীতল হতে শুরু করে, এবং গাছের পাতাগুলি রঙ পরিবর্তন করে এবং পড়ে যায়, লাল, কমলা এবং হলুদ রঙের প্রাণবন্ত বর্ণের একটি অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক প্রদর্শন তৈরি করে।
হেমন্তকালের মৃদু এবং মনোরম আবহাওয়া এটিকে অনেকের কাছে একটি প্রিয় ঋতু করে তোলে। বাতাস খাস্তা এবং তাজা, এবং দিনগুলি রৌদ্রোজ্জ্বল এবং উষ্ণ, যখন রাতগুলি শীতল এবং আরামদায়ক।
তাছাড়া, হেমন্তকাল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী উদযাপনের সাথেও যুক্ত, যেমন হ্যালোইন, থ্যাঙ্কসগিভিং এবং দিওয়ালি। এই উত্সবগুলি ঋতুর আকর্ষণ এবং আবেদন যোগ করে এবং এটিকে আনন্দ ও আনন্দের সময় করে তোলে।
সংক্ষেপে, হেমন্তকালকে তার অনন্য সৌন্দর্য, মৃদু এবং মনোরম আবহাওয়া এবং সাংস্কৃতিক উদযাপনের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে "ঋতুর রানী" বলা হয়।
হেমন্তকাল বাংলাদেশে ঋতুর রানী হিসাবে পরিচিত। এটি একটি অন্যতম সুন্দর ঋতু যা বিভিন্ন সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। হেমন্তকালে বাংলাদেশে বৃষ্টি কম হয় এবং তাপমাত্রা সাধারণত উষ্ণ নয়। এছাড়াও, এই ঋতুতে সেসম এবং আঁখি সহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয় এবং ফুল, গাছ এবং বাগানের উন্নয়ন সম্পন্ন হয়।
এছাড়াও হেমন্তকালে বাংলাদেশে বিভিন্ন উৎসব উদযাপিত হয়, যেমন পৌষ সংক্রান্তি ও মাগহ সংক্রান্তি। এই উৎসবগুলি একটি নতুন আনন্দ এবং উৎসাহের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে একসাথে জড়িয়ে রাখে।
এছাড়াও হেমন্তকালে বাংলাদেশে বিভিন্ন ফুল ফুটে, যেমন শিমুল, সেসম, ফুলশপা, কুসুম, পাঠপুঁষ ইত্যাদি।