চিয়া সিড হল এক ধরনের ছোট, বাদামী বা কালো বীজ যা সালাভাডা উদ্ভিদের ফল থেকে আসে। এটি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার যা প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস।
চিয়া সিডে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো হল:
প্রোটিন: চিয়া সিডে প্রোটিনের পরিমাণ খুব বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
ফাইবার: চিয়া সিডে ফাইবারের পরিমাণও খুব বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে প্রায় ৩৫ গ্রাম ফাইবার থাকে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: চিয়া সিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণও খুব বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে প্রায় ১৮ গ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
অন্যান্য পুষ্টি উপাদান: চিয়া সিডে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, এবং ভিটামিন বি।
চিয়া সিডের স্বাস্থ্য উপকারিতা
চিয়া সিডের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: চিয়া সিডের ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, এবং গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর ঝুঁকি কমাতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: চিয়া সিডের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি: চিয়া সিডের ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি: চিয়া সিডের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো: চিয়া সিডের ফাইবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য: চিয়া সিডের ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্ষুধা কমাতে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে সাহায্য করতে পারে।
চিয়া সিড খাওয়ার উপায়
চিয়া সিড খাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। এটি খাবারের সাথে মিশিয়ে, জুস বা স্মুদিতে যোগ করে, বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি কেক, কুকিজ, এবং অন্যান্য বেকড পণ্য তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিয়া সিড খাওয়ার আগে অবশ্যই এটি ধুয়ে নেওয়া উচিত। এটি পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এটি ফুলে ওঠে এবং খাওয়ার জন্য আরও সুস্বাদু হয়।