আকিকা হলো সন্তান জন্মের পর তার জন্য একটি পশু জবাই করা। আকিকা করা সুন্নত। আকিকার মাংসের বণ্টন সম্পর্কে হাদিসে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। তবে সাধারণভাবে আকিকার মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
আকিকার মাংস রান্না করে খাওয়া যায়, আবার কাঁচা মাংসও বিতরণ করা যায়। বর্তমানে আকিকার মাংস রান্না করে খাওয়ার রীতি বেশি প্রচলিত।
আকিকার মাংস বণ্টন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:
আকিকার গোস্ত বন্টনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। তবে, সাধারণত আকিকার গোস্ত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগ নিজেরা খাওয়া হয়, দ্বিতীয় ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে বণ্টন করা হয় এবং তৃতীয় ভাগ ফকির-মিসকিনদের মধ্যে দান করা হয়।
এছাড়াও, আকিকার গোস্ত রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের পাশাপাশি এলাকার গরীব-দুঃখীদেরও আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।
আকিকার গোস্ত বন্টনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:
আকিকার গোস্তের পরিমাণ: আকিকার জন্য সাধারণত একটি ছাগল বা দুটি ভেড়া জবাই করা হয়। তাই, আকিকার গোস্তের পরিমাণও যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। এই গোস্ত একদিনে শেষ করা সম্ভব না হলে, তা রান্না করে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে খাওয়া যেতে পারে।
আকিকার গোস্তের মাংসের মান: আকিকার গোস্তের মাংস ভালো মানের হওয়া উচিত। তাজা ও সুস্বাদু মাংস বেছে নেওয়া উচিত।
আকিকার গোস্ত বন্টনের সময়: আকিকার গোস্ত বন্টনের সময় খাওয়ার উপযুক্ত সময় হওয়া উচিত। সাধারণত, আকিকার গোস্ত বন্টনের অনুষ্ঠানটি দুপুরের খাবারের সময় করা হয়।
আকিকার গোস্ত বন্টনের মাধ্যমে সন্তানের জন্য দোয়া ও বরকত কামনা করা হয়। তাই, আকিকার গোস্ত বন্টন করার সময় মনের আন্তরিকতা থাকা জরুরি।
আক্বীকা করার পর এর গোশত স্বভাবতই খাওয়া যায় এবং আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ভিক্ষুক ও গরীবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। এ ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান নেই যা রাসূলের হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। যেহেতু এটা সবার সাথে উৎসবের ব্যাপার, সেহেতু ওই সব নিকটাত্মীয়দের সাথে মাংস ভাগ করে নেওয়াই ভালো। এমতাবস্থায় আকীকার গোশত মানুষের মধ্যে বণ্টন করতে পারেন।
আর একটা কাজ করা যেতে পারে। অর্থাৎ আকিকার গোশত রান্না করে সবাইকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। এই সময়ে এই নীতি সমাজে দৃশ্যমান হয়। এই দুটি পদ্ধতিই সঠিক। খাবারেরও ব্যবস্থা করা যায় এবং মাংসও পৌঁছে দেওয়া যায়। এ ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই।