সুরা হুদ ১১:৩১/৪৯ (মক্কী), সুরা ইউনুস ১০:২০ পহ(মক্কী) ,সুরা আরাফ ৭:১৮৮ (মক্কী), সুরা নমল ২৭: ৬৫ (মক্কী), সুরা কলম ৬৮: ৪৭ (মক্কী), সুরা সাবা ৩৪:১৪/৪৮ (মক্কী), সুরা জ্বীন ৭২:২৬ (মাদানী), সুরা আনআম ৬: ৫০/৫৯ (মক্কী), সুরা মায়িদা ৫: ১০৯ (মাদানী), সুরা তাগাবুন ৬৪ :১৮ (মাদানী), সুরা সাজদা ৩২:৬ (মক্কী)।
আয়িশা (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বলে মুহাম্মাদ (সাঃ) স্বীয় রবকে দেখেছেন, সে মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেছেন, চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ (সাঃ) গায়েব জানেন, সেও মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেন, গায়িব জানেন একমাত্র আল্লাহ্। [ বুখারী - ৭৩৮০ ; আ.প্র.৬৮৬৪ ; ই.ফা.৬৮৬৬ ]
আল্লাহ পাক মক্কাবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেন তোমাদের সঙ্গী [ মুহাম্মাদ ] পাগল নয়। সে সেই বাণী বাহক [ জিবরাঈল আঃ ] কে সুস্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে, সে গায়বের [ বাণী বাহক থেকে প্রাপ্ত অদৃশ্যের জ্ঞান মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ] ব্যাপারে কৃপণতা করে না। ( সূরা তাকভীর ৮১ - আয়াত ২২-২৪ / অনুরুপ : সূরা নাজম ৫৩ - আয়াত ১-১০ )
আপনি বলুন, আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিন : অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ? ( সূরা আনআম ৬ - আয়াত ৫০ )
এটি গায়বের খবর, আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরন করছি। ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না। আপনি ধৈর্য্যধারণ করুন। যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভাল, সন্দেহ নেই। ( সূরা হুদ ১১ - আয়াত ৪৯ )
নবী (সাঃ) গায়েব জানতেন না তাই তিনি তার ভাল - মন্দ বুজতে পারতেন না। এই কথা সমর্থনে আল্লাহ পাক নবী (সাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেন -
আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। ( সূরা আরাফ ৭ - আয়াত ১৮৮ )
একজন ইয়াহুদী মহিলা তাঁকে দাওয়াত দিয়ে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়, যা তিনি ও সাহাবাগণও খেয়ে ফেলেন। এমন কি ঐ বিষাক্ত খাবার খেয়ে একজন সাহাবীর মৃত্যুও ঘটে। আর খোদ নবী (সাঃ) জীবনভোর বিষের প্রতিক্রিয়া ভোগ করেন। [ আ.দাউদ - ৪৫১২ ]
আয়েশা (রাঃ) এর চরিত্রে যখন কলঙ্ক দেওয়া হয়, তখন পূর্ণ একমাস নবী (সাঃ) অত্যন্ত অস্থিরতা ও পেরেশানী ভোগ করেন। [ বুখারী - ৪১৪১ ]
ওহুদ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আহত হন এবং মুসলিমদেরকে সাময়িক পরাজয় বরণ করতে হয়। [ তাফসীরে যাকারিয়া ]