গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মায়ের শরীরের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তাই পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না খেলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। ফল হলো পুষ্টিকর খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। গর্ভাবস্থায় অনেক ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে কিছু ফল খাওয়া সম্পর্কে কিছু বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো কামরাঙ্গা।
কামরাঙ্গা একটি পুষ্টিকর ফল। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।কিছু লোক মনে করেন যে গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাদের যুক্তি হলো কামরাঙ্গায় প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না।
গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত, কামরাঙ্গা খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা উচিত। প্রতিদিন ২-৩ টুকরো কামরাঙ্গা খাওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, কামরাঙ্গা খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এতে অক্সালেট শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
সামগ্রিকভাবে, গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়া নিরাপদ। তবে পরিমাণ সীমিত করা এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার কিছু উপকারিতা
কামরাঙ্গা খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা উচিত।
কামরাঙ্গা খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার পরবর্তী পরিণতি
গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। তবে কামরাঙ্গা খাওয়ার পর কিছু মহিলাতে পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে কামরাঙ্গা খাওয়া বন্ধ করা উচিত।