পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। ডায়রিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো পাতলা, জলযুক্ত মলত্যাগ। এছাড়াও, ডায়রিয়ার সাথে পেটে ব্যথা, বমি, জ্বর, ক্লান্তি ইত্যাদি উপসর্গও থাকতে পারে।
ডায়রিয়ার প্রধান কারণ হলো খাদ্যে জীবাণু বা পরজীবী সংক্রমণ। এছাড়াও, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী, অটোইমিউন রোগ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এবং অন্যান্য কারণেও ডায়রিয়া হতে পারে।
ডায়রিয়ার চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করা। এজন্য ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় পান করা উচিত। তরল পানীয়ের মধ্যে খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, ফলের রস ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
ডায়রিয়ার জন্য ফার্মেসিতে বিক্রি হওয়া ওষুধও সেবন করা যেতে পারে। তবে, ডায়রিয়া হলে প্রথমে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পাতলা পায়খানা হলে করণীয় নিম্নরূপ:
ডায়রিয়া যদি তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়, অথবা যদি ডায়রিয়ার সাথে রক্ত, শ্লেষ্মা, বা জ্বর থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া খুবই গুরুতর হতে পারে। তাই বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে নিম্নরূপ করণীয়:
শিশুদের ডায়রিয়া হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ডায়রিয়া হলে শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো হলো:
পানিশূন্যতা হলে শিশুর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়রিয়া হলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ, বাইরে গেলে অন্যদের মধ্যে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত। কারণ, ডায়রিয়ার জীবাণু হাতের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডায়রিয়া হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে:
ডায়রিয়া হলে উপরে উল্লেখিত করণীয়গুলো মেনে চললে ডায়রিয়া থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।