করলা একটি পুষ্টিকর সবজি যা তার তিক্ত স্বাদের জন্য পরিচিত। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। করলা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে.
করলায় থাকা নিকটিনমিড এবং কিউরেসিটিন নামক যৌগগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিকটিনমিড একটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। কিউরেসিটিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ইনসুলিন উৎপাদন এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
করলায় থাকা অন্যান্য উপাদানগুলিও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, করলায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির হার কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য, খালি পেটে করলার জুস খাওয়া একটি কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করলার জুস পান করেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
করলায় থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সাহায্য করে।
করলায় থাকা অন্যান্য উপাদানগুলিও হজমশক্তি উন্নত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, করলায় থাকা নিকটিনমিড অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে।
করলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলগুলির ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়।
করলায় থাকা ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত করলার জুস পান করেন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
করলায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের কোষগুলির পুনর্জন্ম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করতে এবং ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
করলায় থাকা অন্যান্য উপাদানগুলিও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, করলায় থাকা নিকটিনমিড ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
করলায় থাকা ভিটামিন এ চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।
করলায় থাকা অন্যান্য উপাদানগুলিও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, করলায় থাকা নিকটিনমিড চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে।
খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করলার জুস পান করুন। শুরুতে আপনি এক চা চামচ করলার জুস দিয়ে শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
যদি আপনার কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে তবে করলার জুস খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
করলার জুস খুব তিক্ত হতে পারে। তাই আপনি চাইলে তাতে মধু বা চিনি যোগ করে পান করতে পারেন।
যদি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তবে করলার জুস খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।