রাসূল (সা.)-এর জন্ম ও ইন্তেকালের ঘটনা একই দিনে ঘটলেও, এ দুটি ঘটনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। রাসূল (সা.)-এর জন্ম ছিল মানবতার মুক্তির জন্য। তিনি ছিলেন একজন মহান শিক্ষক, নেতা ও সংস্কারক। তাঁর জন্মের মাধ্যমে মানবতার ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। তাই তাঁর জন্মদিনকে খুশি ও আনন্দের দিন হিসেবে পালন করা হয়।
অন্যদিকে, রাসূল (সা.)-এর ইন্তেকাল ছিল মানবতার জন্য এক মহান ক্ষতি। তিনি ছিলেন আমাদের পথপ্রদর্শক ও অনুপ্রেরণা। তাঁর ইন্তেকালের মাধ্যমে মানবতা একটি মহান নেতা ও শিক্ষককে হারিয়েছিল। তাই তাঁর ইন্তেকালের দিনকে শোক ও বেদনার দিন হিসেবে পালন করা হয়।
একই দিনে শোক ও খুশি মিশ্রিত থাকা সত্ত্বেও, রাসূল (সা.)-এর জন্মদিনকে খুশি ও আনন্দের দিন হিসেবে পালন করা বৈধ। কারণ, তাঁর জন্ম ছিল মানবতার জন্য একটি মহান ঘটনা। তাঁর জন্মের মাধ্যমে মানবতা একটি নতুন সভ্যতার দিকে এগিয়ে যায়।
রাসূল (সা.)-এর ইন্তেকালের দিন শোক পালন করাও বৈধ। কারণ, তাঁর ইন্তেকাল ছিল মানবতার জন্য এক মহান ক্ষতি। তাঁর ইন্তেকালের মাধ্যমে মানবতা একটি মহান নেতা ও শিক্ষককে হারিয়েছিল।
রাসূল (সা.)-এর জন্মদিনকে খুশি ও আনন্দের দিন হিসেবে পালন করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত:
এই দিনের মাধ্যমে ইসলামের মূল দর্শন ও মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কাজ করা উচিত নয়।
এই দিনের মাধ্যমে রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করা উচিত।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যে কাজগুলো করা উচিত:
রাসূল (সা.)-এর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে আলোচনা করা।
মিলাদ শরীফ পাঠ করা।
দরুদ ও সালাম পাঠ করা।
রাসূল (সা.)-এর জন্য দোয়া করা।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যে কাজগুলো করা উচিত নয়:
রাসূল (সা.)-কে দেবতা হিসেবে পূজা করা।
রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য অযৌক্তিক ও শিরকী কাজ করা।
রাসূল (সা.)-এর জন্মদিনকে ঈদ হিসেবে পালন করা।
উভয় দিন ছিল সোমবার।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম সোমবার দিন জন্মগ্রহন করেছেন এবং সোমবার দিনই ইন্তেকাল করেছেন।