কলার বিভিন্ন জাত কি কি

পাবলিশঃ 7 months ago
দেখেছেনঃ 467

কলার বিভিন্ন জাত কি কি


কলার বিভিন্ন জাত:

বাংলাদেশে প্রচলিত কলার বিভিন্ন জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:


১) কবরী:


সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত।

পাতলা, লম্বা এবং হালকা সবুজ রঙের।

পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।

মিষ্টি স্বাদের।

বাজারে সহজলভ্য।

২) সাগর:


বড় আকারের এবং পুরুত্বপূর্ণ।

সবুজ রঙের।

পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।

মিষ্টি স্বাদের।

সাধারণত কবরীর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়।

৩) অমৃতসাগর:


পাতলা, লম্বা এবং সবুজ রঙের।

পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।

মিষ্টি এবং সুস্বাদু।

কবরীর চেয়ে দামে একটু বেশি।

৪) চাঁপা:


ছোট আকারের এবং মোটা।

সবুজ রঙের।

পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।

মিষ্টি স্বাদের।

সাধারণত গ্রামাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়।

৫) এলাচি:


ছোট আকারের এবং সুগন্ধিযুক্ত।

সবুজ রঙের।

পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।

মিষ্টি স্বাদের।

বিরল জাত, তবে বাজারে পাওয়া যায়।

৬) বরই:


বড় আকারের এবং পুরুত্বপূর্ণ।

সবুজ রঙের।

পাকা হলে লালচে রঙের হয়।

মিষ্টি এবং সুস্বাদু।

সাধারণত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশি পাওয়া যায়।

৭) কাঁঠালি:


লম্বা এবং সরু।

সবুজ রঙের।

পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।

মিষ্টি স্বাদের।

সাধারণত কম পাওয়া যায়।

৮) জাবকাঠালি:


ছোট আকারের এবং মোটা।

সবুজ রঙের।

পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।

মিষ্টি স্বাদের।

সাধারণত গ্রামাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়।

৯) বীজকলা:


বীজযুক্ত কলা।

বিভিন্ন আকার ও রঙের হতে পারে।

সাধারণত খাবারের চেয়ে রান্না করে খাওয়া হয়।

১০) এটেকলা:


বীজযুক্ত কলা।

বড় আকারের এবং পুরুত্বপূর্ণ।

সবুজ রঙের।

পাকা হলে লালচে রঙের হয়।

মিষ্টি এবং সুস্বাদু।

সাধারণত চট্টগ্রাম ও সিলেটে বেশি পাওয়া যায়।

এছাড়াও আরও অনেক জাতের কলা রয়েছে।


কলার জাত নির্বাচনের সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:


আবহাওয়া: বিভিন্ন জাতের কলা বিভিন্ন আবহাওয়ায় ভালোভাবে জন্মে।

মাটি: বিভিন্ন জাতের কলা বিভিন্ন ধরণের মাটিতে ভালোভাবে জন্মে।

কলার বিভিন্ন জাত কি কি

🚀

কলার বিভিন্ন জাত:

বাংলাদেশে প্রচলিত কলার বিভিন্ন জাতকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

১) বীজমুক্ত কলা:

  • সবরি: সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত, সুস্বাদু, দীর্ঘস্থায়ী, রপ্তানির জন্য উপযুক্ত।
  • অমৃতসাগর: পাতলা, লম্বা, মিষ্টি, উচ্চ ফলনশীল।
  • অগ্নিশ্বর: পাতলা, লম্বা, মিষ্টি, রোগ প্রতিরোধী।
  • দুধসর: স্থূল, মিষ্টি, দীর্ঘস্থায়ী।
  • দুধসাগর: পাতলা, লম্বা, মিষ্টি, উচ্চ ফলনশীল।

২) দু-একটি বীজযুক্ত কলা:

  • চাম্পা: স্থূল, মিষ্টি, সুগন্ধি, ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ।
  • চিনিচাম্পা: পাতলা, লম্বা, মিষ্টি, উচ্চ ফলনশীল।
  • কবরী: স্থূল, মিষ্টি, সুগন্ধি, দীর্ঘস্থায়ী।
  • চন্দন কবরী: পাতলা, লম্বা, মিষ্টি, উচ্চ ফলনশীল।
  • জাবকাঠালী: স্থূল, মিষ্টি, সুগন্ধি, দীর্ঘস্থায়ী।

৩) বীজযুক্ত কলা:

  • এটেকলা: স্থূল, মিষ্টি, সুগন্ধি, দীর্ঘস্থায়ী।
  • বতুর আইটা: স্থূল, মিষ্টি, সুগন্ধি, দীর্ঘস্থায়ী।
  • গোমা: স্থূল, মিষ্টি, সুগন্ধি, দীর্ঘস্থায়ী।
  • সাংগী আইটা: স্থূল, মিষ্টি, সুগন্ধি, দীর্ঘস্থায়ী।

এছাড়াও আরও অনেক জাতীয় কলা রয়েছে যা স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়।

কলার জাত নির্বাচনের সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:

  • আবহাওয়া ও মাটি: বিভিন্ন জাত বিভিন্ন আবহাওয়া ও মাটিতে ভালো ফলে।
  • ফলের গুণাবলী: স্বাদ, আকার, রঙ, বীজের পরিমাণ ইত্যাদি।
  • ফলনশীলতা: প্রতি গাছে কত ফল হবে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী।
  • বাজার চাহিদা: কোন জাতের কলা বাজারে বেশি চাহিদা।

কিছু টিপস:

  • একই জমিতে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা ভালো।
  • নিয়মিত কলা গাছের যত্ন নেওয়া উচিত।
  • সঠিক সময়ে সার ও সেচ দেওয়া উচিত।
  • রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছ রক্ষা করা উচিত।

কলা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন সমূহ

কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি কি?
কলা কীভাবে পাকানো হয়?
কলার বিভিন্ন জাত কি কি
কমলা
কলা কিভাবে উৎপাদিত হয়?
বিশ্বের বৃহত্তম কলা উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
কলা দিয়ে কি কি রান্না করা যায়?
কলা দিয়ে কি কি রান্না করা যায়?
প্রশ্ন যোগ করুন