কলার বিভিন্ন জাত:
বাংলাদেশে প্রচলিত কলার বিভিন্ন জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:
১) কবরী:
সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত।
পাতলা, লম্বা এবং হালকা সবুজ রঙের।
পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।
মিষ্টি স্বাদের।
বাজারে সহজলভ্য।
২) সাগর:
বড় আকারের এবং পুরুত্বপূর্ণ।
সবুজ রঙের।
পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।
মিষ্টি স্বাদের।
সাধারণত কবরীর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়।
৩) অমৃতসাগর:
পাতলা, লম্বা এবং সবুজ রঙের।
পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।
মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
কবরীর চেয়ে দামে একটু বেশি।
৪) চাঁপা:
ছোট আকারের এবং মোটা।
সবুজ রঙের।
পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।
মিষ্টি স্বাদের।
সাধারণত গ্রামাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়।
৫) এলাচি:
ছোট আকারের এবং সুগন্ধিযুক্ত।
সবুজ রঙের।
পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।
মিষ্টি স্বাদের।
বিরল জাত, তবে বাজারে পাওয়া যায়।
৬) বরই:
বড় আকারের এবং পুরুত্বপূর্ণ।
সবুজ রঙের।
পাকা হলে লালচে রঙের হয়।
মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
সাধারণত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশি পাওয়া যায়।
৭) কাঁঠালি:
লম্বা এবং সরু।
সবুজ রঙের।
পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।
মিষ্টি স্বাদের।
সাধারণত কম পাওয়া যায়।
৮) জাবকাঠালি:
ছোট আকারের এবং মোটা।
সবুজ রঙের।
পাকা হলে হলুদ রঙের হয়।
মিষ্টি স্বাদের।
সাধারণত গ্রামাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়।
৯) বীজকলা:
বীজযুক্ত কলা।
বিভিন্ন আকার ও রঙের হতে পারে।
সাধারণত খাবারের চেয়ে রান্না করে খাওয়া হয়।
১০) এটেকলা:
বীজযুক্ত কলা।
বড় আকারের এবং পুরুত্বপূর্ণ।
সবুজ রঙের।
পাকা হলে লালচে রঙের হয়।
মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
সাধারণত চট্টগ্রাম ও সিলেটে বেশি পাওয়া যায়।
এছাড়াও আরও অনেক জাতের কলা রয়েছে।
কলার জাত নির্বাচনের সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:
আবহাওয়া: বিভিন্ন জাতের কলা বিভিন্ন আবহাওয়ায় ভালোভাবে জন্মে।
মাটি: বিভিন্ন জাতের কলা বিভিন্ন ধরণের মাটিতে ভালোভাবে জন্মে।