শীতকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতি:
শীতকালে তরমুজ চাষ বেশ লাভজনক হতে পারে। বাজারে তখন তরমুজের চাহিদা বেশি থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে শীতকালে তরমুজ চাষ করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
জমি নির্বাচন ও মাটি প্রস্তুত:
শীতকালীন তরমুজ চাষের জন্য বেলে-বালিয়াশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত।
জমি উঁচু ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
মাটিতে জৈব সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বাড়াতে হবে।
জাত নির্বাচন:
শীতকালীন তরমুজ চাষের জন্য বেশ কিছু উন্নত জাত আছে।
এর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় জাত হলো: জাপানি লাল, ব্ল্যাক বেবি, মধুচুরি, বাদশা, সুগার বেবি ইত্যাদি।
স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে জাত নির্বাচন করা উচিত।
বীজ বপন:
শীতকালীন তরমুজের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস।
বীজ বপনের পূর্বে বীজকে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে দ্রুত萌芽 হয়।
প্রতি ঢিপিতে ৩-৪টি বীজ বপন করা হয়।
বীজ বপনের পর নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
চারা রোপণ:
বীজ萌芽 হয়ে ৭-১০ দিন পর চারা রোপণ করা হয়।
প্রতি গাছের মধ্যে 2-3 মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
পরিচর্যা:
নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে।
গাছের গোড়ায় আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করতে হবে।
ফল সংগ্রহ:
বীজ বপনের ৮০-৯০ দিন পর ফল সংগ্রহ করা যায়।
ফল পাকলে ডাঁটা सह কাটা ফল সংগ্রহ করতে হবে।
কিছু টিপস:
শীতকালে রাতের তাপমাত্রা কম থাকে। তাই রাতে গাছের উপরে পলিথিন ঢেকে রাখলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
বাজারে তাড়াতাড়ি তরমুজ বিক্রি করতে চাইলে বীজ বপনের সময় একটু আগে করা যেতে পারে।
তরমুজের গুণমান ভালো করতে নিয়মিত সেচ ও সার প্রয়োগ করা জরুরি।
শেষ কথা:
শীতকালীন তরমুজ চাষ কিছুটা যত্নসহকারে করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চললে আপনিও সফলভাবে শীতকালীন তরমুজ চাষ করতে পারবেন।