তরমুজের বৈশিষ্ট্য: গ্রীষ্মের রসালো মণি
ভূমিকা:
গ্রীষ্মের দাবদাহে তৃষ্ণা নিবারণ ও শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য তরমুজের জুড়ি নেই। লাল, মিষ্টি আর রসালো এই ফলটি আমাদের সকলেরই প্রিয়। কিন্তু কি জানেন, তরমুজের শুধু স্বাদই নয়, এর আরও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বৈশিষ্ট্য:
আকার ও রঙ: তরমুজ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়, ছোট গোলাকার থেকে শুরু করে লম্বাটে। এর রঙও হতে পারে সবুজ, হলুদ, কালো, বাদামী এমনকি ধূসর। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গাঢ় সবুজ রঙের লাল গোশের তরমুজ।
স্বাদ ও গন্ধ: তরমুজের স্বাদ মিষ্টি আর রসালো। কিছু কিছু তরমুজে হালকা টক ভাবও থাকে। পাকা তরমুজের একধরণের মিষ্টি গন্ধ থাকে।
পুষ্টিগুণ: তরমুজ ৯২% পানি সমৃদ্ধ, যা গ্রীষ্মের জন্য আদর্শ। এতে ভিটামিন এ, সি, লাইকোপিন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে।
ঔষধিগুণ: তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, ত্বকের যত্ন, ওজন নিয়ন্ত্রণ, হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার: তরমুজ কাঁচাই খাওয়া ছাড়াও সালাদ, জুস, শরবত, আইসক্রিম, মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
জাত: বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে বারি তরমুজ-১, বারি তরমুজ-২, পাকিজা, সুইট ক্রাঞ্চ, ব্ল্যাক চ্যাম্প, কারিশমা ইত্যাদি।
উপসংহার:
তরমুজ কেবল সুস্বাদু ফলই নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত তরমুজ খেলে আমরা শরীর সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে পারি।