নিম পাতার অসাধারণ ব্যবহার:
নিম পাতা শুধু একটি সাধারণ পাতা নয়, বরং এটি প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি গুণাবলীর জন্য বিখ্যাত।
ঔষধি ব্যবহার:
ত্বকের যত্ন: নিম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী রয়েছে যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি, একজিমা এবং চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।
চুলের যত্ন: নিম পাতা চুলের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এটি খুশকি, চুল পড়া এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতা দিয়ে তৈরি তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল ঘন, দীর্ঘ ও সুন্দর হয়।
মুখের যত্ন: নিম পাতা মুখের জন্যও একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার। এটি মুখের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণ করে, ব্রণের চিহ্ন দূর করে এবং মুখ উজ্জ্বল করে। নিম পাতার পেস্ট মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে মুখ পরিষ্কার ও মসৃণ হয়।
জ্বর ও সর্দি-কাশি: নিম পাতায় অ্যান্টি-পাইরেটিক এবং অ্যান্টি-ভাইরাল গুণাবলী রয়েছে যা জ্বর ও সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার চা পান করলে জ্বর কমে এবং সর্দি-কাশির উপশম হয়।
হজমশক্তি: নিম পাতা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি অ্যাসিডিটি, পেট ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস পান করলে হজমশক্তি শক্তিশালী হয়।
মধুমেহ: নিম পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মধুমেহ রোগীরা নিয়মিত নিম পাতার রস পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দাঁত ও মাড়ির যত্ন: নিম পাতা দাঁত ও মাড়ির জন্যও খুবই উপকারী। এটি মুখের গন্ধ দূর করে, দাঁত শক্ত করে এবং মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। নিম পাতা দিয়ে তৈরি টুথপেস্ট দিয়ে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে।