রান্নায় হলুদ ব্যবহারের নানা টিপস
হলুদ বাঙ্গালি রান্নার অপরিহার্য একটি মশলা। এর স্বাদ ও গন্ধ ছাড়া আমাদের রান্না যেন অসম্পূর্ণ। কিন্তু কেবল স্বাদ ও গন্ধের জন্যই নয়, হলুদের রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুণাবলীও।
হলুদ ব্যবহারের কিছু টিপস:
তরকারিতে:
শুরুতেই হলুদ ব্যবহার: রান্নার শুরুতেই অল্প পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করলে তেল গরম হয়ে ওঠে এবং মশলাগুলো ভালোভাবে মিশে যায়।
তরকারির ধরণ অনুযায়ী: পাতাশাক, শলা, ঢেঁড়স, বেগুনের মতো সবজি রান্নার সময় কম হলুদ ব্যবহার করা হয়। আর মাংস, মাছ, ডাল, মুরগির রান্নায় একটু বেশি হলুদ ব্যবহার করা হয়।
হলুদের গুঁড়ো বনাম হলুদ গোটা: হলুদের গুঁড়ো তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায় এবং তরকারির রঙ করে তোলে। হলুদ গোটা দীর্ঘক্ষণ রান্না করতে হয় এবং তরকারির স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
মাংস, মাছ ও ডাল রান্না:
ম্যারিনেডে: মাংস, মাছ ও ডাল রান্নার আগে হলুদ, দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ম্যারিনেড করে রাখলে মাংস নরম হয় এবং সুস্বাদু হয়।
রান্নার সময়: মাংস, মাছ ও ডাল রান্নার সময় হলুদ ব্যবহার করলে খাবারের রঙ ও স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
ভাত রান্না:
পোলাও ও খিচুড়ি: পোলাও ও খিচুড়ি রান্নার সময় হলুদ ব্যবহার করলে খাবারের সুন্দর হলুদ রঙ ও স্বাদ তৈরি হয়।
ভাতের সাথে তরকারি: ভাতের সাথে পরিবেশনের জন্য তরকারি রান্নার সময় হলুদ ব্যবহার করা হয়।
হলুদের অন্যান্য ব্যবহার:
হলুদের দুধ: হলুদ, দুধ ও চিনি মিশিয়ে হলুদের দুধ তৈরি করা হয়। এটি ঠান্ডা লাগা, কাশি, সর্দি ইত্যাদিতে উপকারী।
হলুদের লস্সি: দই, পানি, হলুদ, লবণ ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে হলুদের লস্সি তৈরি করা হয়। এটি গ্রীষ্মের দিনে পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
হলুদের আচার: আম, আদা, কাঁচা মরিচ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে হলুদের আচার তৈরি করা হয়।
কিছু সতর্কতা:
বেশি হলুদ ব্যবহার করা যাবে না: রান্নায় অতিরিক্ত হলুদ ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ তেতো হয়ে যেতে পারে।