হ্যাঁ, কচু বিশ্বের অন্যান্য অংশে পাওয়া যায়।
কচু, যা Colocasia esculenta নামেও পরিচিত, এটি Araceae পরিবারের একটি বহুবর্ষী উদ্ভিদ যা তার খাদ্যযোগ্য মূল (কন্দ) এর জন্য চাষ করা হয়। এটি উষ্ণমণ্ডলীয় এবং উপ-উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে স্থানীয়, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। কচু বাংলাদেশ, ভারত, চীন, জাপান, এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়।
কচুর অন্যান্য নাম:
** taro** (ইংরেজি)
alu (হিন্দি)
arvi (মারাঠি)
chempu (মালায়ালাম)
kachu (গুজরাটি)
eddoe (ক্যারিবিয়ান)
কচুর বিভিন্ন প্রজাতি:
Colocasia esculenta var. esculenta: সবচেয়ে সাধারণ প্রজাতি, যা খাদ্যের জন্য চাষ করা হয়।
Colocasia esculenta var. antiquorum: "কালো কচু" নামেও পরিচিত, এটি তার গাঢ় বেগুনি রঙের পাতার জন্য পরিচিত।
Colocasia esculenta var. gigantea: "বিশাল কচু" নামেও পরিচিত, এটি তার বড় আকারের জন্য পরিচিত।
কচুর ব্যবহার:
কচুর পাতা এবং কন্দ বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। পাতাগুলি সাধারণত সবজি হিসাবে রান্না করা হয়, যখন কন্দগুলি ভাজা, সিদ্ধ, বা ঝোলের সাথে রান্না করা যেতে পারে।
কচুর কন্দ স্টার্চের একটি ভাল উৎস এবং এটি আটা তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কচুর পাতা ঔষধি গুণাবলী ধারণ করে বলে মনে করা হয় এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
কচু বিশ্বের অন্যান্য অংশে কীভাবে পরিবেশন করা হয়:
ভারতে, কচু আলু দম এবং কচু ভর্তা সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী রান্নায় ব্যবহৃত হয়।
চীনে, কচু তরকারি এবং স্যুপ তৈরিতে জনপ্রিয়।
জাপানে, কচু টারো নামে পরিচিত এবং টারো নুডলস এবং টারো স্যুপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
দক্ষিণ আমেরিকায়, কচু ক্যারিবিয়ান এবং দক্ষিণ আমেরিকার রন্ধনপ্রণালীতে ব্যবহৃত হয়।
উপসংহার:
কচু একটি বহুমুখী খাদ্য যা বিশ্বের অনেক অংশে উপভোগ করা হয়। এটি তার সুস্বাদু স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের জন্য একটি জনপ্রিয় উপাদান।