কচু Araceae গোত্রভুক্ত এক ধরণের কন্দ জাতীয় উদ্ভিদ। এটি মানুষের চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব এলাকায় কম বেশি কচু দেখতে পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে, বাড়ির আনাচে কানাচে, বিভিন্ন পতিত জমিতে অনাদরে-অবহেলায় অনেক সময় কচু জন্মাতে দেখা যায়।
কচুর বিভিন্ন প্রকারভেদ:
মুখী কচু: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় কচু। এর মুখের মতো আকৃতি থাকে।
পানিকচু: এটি পানিতে জন্মে।
দুধকচু: এর রস দুধের মতো সাদা।
কুড়ি কচু: এটি ছোট আকারের হয়।
ওলকচু: এটি বন্য কচু।
কচুর ব্যবহার:
খাদ্য: কচুর মূল, শিকড়, লতি, পাতা ও ডাটা সবই খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ঔষধ: কচুর রস ও পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আনুষাঙ্গিক: কচুর পাতা বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
কচুর পুষ্টিগুণ:
কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, বি১, বি২, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম থাকে।
কচুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী থাকে।
কচু হজমশক্তি উন্নত করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের যত্ন নেয়।
কচু রান্নার কিছু টিপস:
কচু কাটার সময় হাতে তেল মাখিয়ে নিলে হাতে চুলকানি হবে না।
কচু সিদ্ধ করে খেলে গলা ধরার সমস্যা কম হয়।
কচু দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার রান্না করা যায়।
উপসংহার:
কচু একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। এটি বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।