লবণের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য:
লবণ হলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি একধরণের যৌগ যাতে ধনাত্মক আয়ন (ক্যাটিয়ন) এবং ঋণাত্মক আয়ন (অ্যানায়ন) থাকে। লবণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নীচে বর্ণিত হলো:
১. আয়নিক প্রকৃতি: লবণ আয়নিক যৌগ, যার অর্থ এগুলো ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়। পানিতে দ্রবীভূত হলে লবণ আয়নে বিযুক্ত হয় এবং বিদ্যুৎ পরিবাহিত করে।
২. নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক এবং স্ফটিক গঠন: লবণের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক থাকে এবং এগুলো সুস্পষ্ট স্ফটিক গঠন করে।
৩. জলবিশ্লেষণ: কিছু লবণ পানিতে দ্রবীভূত হলে আংশিকভাবে বিযুক্ত হয় এবং হাইড্রোজেন ও হাইড্রোক্সাইড আয়ন তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াকে জলবিশ্লেষণ বলে।
৪. অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়া: লবণ দ্রবণ অম্ল বা ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। লবণের দ্রবণের pH নির্ধারণ করে এটি অম্ল, ক্ষার নাকি নিরপেক্ষ তা বোঝা যায়।
৫. অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া: দ্রবণীয় লবণের দ্রবণের সাথে অদ্রবণীয় লবণের দ্রবণ মিশালে অধঃক্ষেপণ তৈরি হতে পারে।
৬. রাসায়নিক বিক্রিয়া: লবণ বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাসিড-বেস বিক্রিয়া, অক্সিডেশন-বিজারণ বিক্রিয়া ইত্যাদি।
৭. খাদ্য সংরক্ষণ: লবণ খাদ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লবণ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে খাবার দীর্ঘস্থায়ী করে।
৮. শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া: লবণ আমাদের শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্নায়ু ত衝, পেশী সংকোচন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লবণ অপরিহার্য।
উল্লেখ্য যে, লবণের বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলি লবণের ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।