লবণের বিভিন্ন ধরণ:
লবণ, যা সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) নামেও পরিচিত, রান্নায় স্বাদ যোগ করার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে লবণ সংগ্রহ করা হয়, যার ফলে বিভিন্ন ধরণের লবণ তৈরি হয়।
কিছু জনপ্রিয় লবণের ধরণ :
1. টেবিল লবণ:
সবচেয়ে সাধারণ ধরণের লবণ।
খনিজ থেকে খনন করা হয় বা সমুদ্রের জল বাষ্পীভবন করে তৈরি করা হয়।
সাধারণত সোডিয়াম ক্লোরাইডের সাথে অ্যান্টি-কেকিং এজেন্ট যোগ করা হয়।
2. সমুদ্র লবণ:
সমুদ্রের জল বাষ্পীভবন করে তৈরি করা হয়।
টেবিল লবণের তুলনায় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।
হালকা, স্বচ্ছ স্বাদ থাকে।
3. হিমালয় লবণ:
পাকিস্তানের খনিজ খনিতে খনন করা হয়।
গোলাপী রঙের জন্য পরিচিত।
টেবিল লবণের তুলনায় কম সোডিয়াম থাকে।
নরম, সূক্ষ্ম স্বাদ থাকে।
4. কালো লবণ:
ভারতে উৎপাদিত একটি বিশেষ ধরণের লবণ।
আগুনে পোড়ানো লাভাণ্ডশিল্প, মশলা এবং ভেষজ দিয়ে তৈরি।
ধূম্রপান, মটরশুটি এবং ডিমের সাথে ভালো যায়।
5. সেল্টিক লবণ:
ফ্রান্সের ব্রিটানি অঞ্চলে উৎপাদিত লবণ।
ধূসর রঙের এবং ভেজা ভেজা টেক্সচার।
হালকা, সমুদ্রের মতো স্বাদ থাকে।
6. ক্যাশের লবণ:
ঝিনুকের খোল থেকে তৈরি লবণ।
উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে।
লবণাক্ত, ধাতবীয় স্বাদ থাকে।
লবণ নির্বাচন করার সময়:
ব্যবহারের উদ্দেশ্য বিবেচনা করুন।
স্বাদ পছন্দ।
খনিজ উপাদানের মাত্রা।
সোডিয়ামের পরিমাণ।
লবণ ব্যবহারের টিপস:
অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন।
বিভিন্ন ধরণের লবণ পরীক্ষা করে দেখুন।
খাবারে স্বাদ যোগ করার জন্য লবণের সাথে ভেষজ এবং মশলা ব্যবহার করুন।