ভোজ্য লবণ তৈরির প্রক্রিয়া:
ভোজ্য লবণ, যা সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) নামেও পরিচিত, দুটি প্রধান পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়:
1. সৌর বাষ্পীভবন:
এই পদ্ধতিতে, সমুদ্রের পানি বা লবণাক্ত জলাশয়ের পানি লবণক্ষেত্রে ধরে রাখা হয়। সূর্যের তাপে পানি বাষ্পীভূত হয়, লবণের স্ফটিক পিছনে ফেলে। এই স্ফটিকগুলো সংগ্রহ করে ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়, যা আমাদের সাধারণ লবণ তৈরি করে।
2. খনিজ লবণ উত্তোলন:
এই পদ্ধতিতে, লবণ খনির ভূগর্ভস্থ লবণ স্তর থেকে লবণ উত্তোলন করা হয়। খনন করা লবণ পরিশোধন করা হয় অপদ্রব্য দূর করার জন্য, এবং তারপর শুকিয়ে নেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে তৈরি লবণকে খনিজ লবণ বলা হয়।
উভয় পদ্ধতিতে তৈরি লবণের কিছু অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের লবণ তৈরি করা হয়, যেমন:
আইওডাইজড লবণ: লবণে আয়োডিন যোগ করা হয়, যা থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
টেবিল লবণ: লবণকে আরও ভালোভাবে মিশে যাওয়ার জন্য ছোট ছোট স্ফটিকে ভেঙে অ্যান্টি-কেকিং এজেন্ট যোগ করা হয়।
সমুদ্র লবণ: সমুদ্রের পানি থেকে তৈরি লবণ, যা প্রায়শই অপরিশোধিত থাকে এবং इसमें খনিজ পদার্থ থাকে।
বাংলাদেশে, সৌর বাষ্পীভবন পদ্ধতিই ভোজ্য লবণ তৈরির প্রধান পদ্ধতি। দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণক্ষেত্র স্থাপন করা হয়েছে যেখানে সমুদ্রের পানি থেকে লবণ উৎপাদন করা হয়।
লবণ আমাদের খাদ্যের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে।