আদা কিভাবে সংরক্ষণ করা হয়:
আদা আমাদের রান্নায় অপরিহার্য একটি মশলা। স্বাদ ও সুগন্ধি ছাড়াও, আদার ঔষধি গুণাবলীও অনেক। তাই বাজার থেকে কিনে এনে দীর্ঘ সময় ধরে ভালো রাখতে পারলে খরচও কম হয়।
আদা সংরক্ষণের কয়েকটি সহজ উপায়:
১. শুকনো জায়গায়:
আস্ত আদা: শুষ্ক, ঠান্ডা এবং অন্ধকারে রাখুন। কাগজের ব্যাগে মুড়িয়ে রাখলে আরও ভালো থাকে। এভাবে ২-৩ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
কাটা আদা: খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে কেটে কাগজের তোয়ালেতে শুকিয়ে নিন। এবার এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখুন। ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
২. ভিনেগারে:
আদার টুকরো: খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে কেটে ভিনেগার ও পানি মিশ্রণে ডুবিয়ে রাখুন। এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখুন। ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
৩. ফ্রিজে:
আদা বাটা: আদা বাটা করে ফ্রিজারে বরফের ট্রেতে ছোট ছোট টুকরা করে জমা করে নিন। জমে গেলে বরফের টুকরোগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রাখুন। ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
আদার রস: আদা ব্লেন্ড করে রস বের করে ফ্রিজারে বরফের ট্রেতে ছোট ছোট টুকরা করে জমা করে নিন। জমে গেলে বরফের টুকরোগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রাখুন। ৩ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
৪. শুকিয়ে:
আদার গুঁড়া: আদা পাতলা করে কেটে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এয়ারটাইট পাত্রে ভরে শুষ্ক, ঠান্ডা জায়গায় রাখুন। ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
কিছু টিপস:
আদা কেনার সময়: শক্ত, মসৃণ এবং উজ্জ্বল চামড়াযুক্ত আদা কিনুন।
সংরক্ষণের আগে: আদা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
খোসা ছাড়া: দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণের জন্য আদার খোসা ছাড়িয়ে রাখা ভালো।
কাটা আদা: দ্রুত ব্যবহার না করলে কাটা আদা ফ্রিজে রাখুন।
ভেজা আদা: ভেজা আদা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভেজা আদা ব্যবহার করুন না।
উপসংহার:
উপরে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে আদা ভালো রাখতে পারবেন। এতে খরচও কমবে এবং তাজা আদার স্বাদ ও গুণাবলীও উপভোগ করতে পারবেন।