আদা শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, বরং এটি ঔষধি গুণেও ভরপুর। ঠান্ডা লাগা, কাশি, গলা ব্যথা, হজমের সমস্যা, বমি বমি ভাব, ব্যথা, প্রদাহ, এমনকি ওজন কমাতেও আদা ব্যবহার করা হয়।
আদা ব্যবহারের কিছু জনপ্রিয় উপায়:
1. চা:
সবচেয়ে সহজ উপায় হল আদার চা।
এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ আদার টুকরো ও পাতলা করে কাটা আদা দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
ছেঁকে মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
2. স্মুদি:
ফলের স্মুদিতে আদা মিশিয়ে আরও স্বাদ ও পুষ্টি যোগ করুন।
আপেল, কলা, পেঁপে, শসা, যেকোনো ফলের সাথে আদা ব্যবহার করতে পারেন।
3. রান্না:
মাছ, মাংস, তরকারি, স্যুপ - সব রকমের রান্নায় আদা ব্যবহার করা হয়।
ভাজা, পোলাও, খিচুড়ি, বিরিয়ানিতেও আদা দেওয়া হয়।
4. আচার:
আদার আচার তৈরি করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়।
এটি খাবারের সাথে অতিরিক্ত স্বাদ যোগ করে।
5. আদার রস:
বাজারে তৈরি আদার রস পাওয়া যায়।
অথবা, বাড়িতেও তৈরি করা যায়।
ঠান্ডা লাগা, কাশি, গলা ব্যথার জন্য আদার রস খুবই উপকারী।
6. ত্বক ও চুলের যত্নে:
আদার রস মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ব্রণ কমে।
চুলে আদা ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয় এবং চুলের বৃদ্ধি পায়।
আদা ব্যবহারের কিছু সতর্কতা:
যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের আদা বেশি খাওয়া উচিত নয়।
গর্ভবতী মহিলাদের প্রথম তিন মাস আদা এড়িয়ে চলা উচিত।
অতিরিক্ত আদা খেলে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব হতে পারে।
উপসংহার:
আদা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত উপকারী একটি মশলা। স্বাদ ও ঔষধি গুণের জন্য নিয়মিত আদা ব্যবহার করা উচিত।
তবে, সতর্কতা অবলম্বন করাও জরুরি।
আদা আমাদের রান্নায় অপরিহার্য একটি মশলা। স্বাদের পাশাপাশি এর ঔষধি গুণাবলীর জন্যও এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কেনা আদা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, বিশেষ করে গরমের সময়।
আজকের এই ব্লগপোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি তাজা আদা দীর্ঘদিন টাটকা রাখতে পারেন।
১. পুরো আদা সংরক্ষণ:
শীতল ও শুষ্ক জায়গায় রাখুন: আদা আর্দ্রতা ও উষ্ণতায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই শীতল ও শুষ্ক জায়গায়, যেমন আপনার রান্নার ঘরের একটি অন্ধকার কোণায় আদা সংরক্ষণ করুন।
কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করুন: প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে কাগজের ব্যাগে আদা রাখুন। কাগজ আর্দ্রতা শোষণে সাহায্য করে।
খোসা ছাড়বেন না: যতক্ষণ না আপনার আদা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত খোসা ছাড়বেন না।
২. কাটা আদা সংরক্ষণ:
এয়ারটাইট পাত্রে রাখুন: কাটা আদা একটি এয়ারটাইট পাত্রে, যেমন কাচের জার বা প্লাস্টিকের খাবারের ডিब्बे রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
ভিনেগার ব্যবহার করুন: কাটা আদা ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এতে আদা দীর্ঘ সময় টাটকা থাকবে।
আদা পেস্ট তৈরি করুন: প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আদা কেটে ফেলেছেন? চিন্তা নেই! আদা ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
৩. শুকনো আদা সংরক্ষণ:
পাতলা করে কেটে শুকিয়ে নিন: আদা পাতলা করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো আদা দীর্ঘদিন টিকে থাকে এবং গুঁড়ো করে ব্যবহার করা যায়।
আদা গুঁড়ো তৈরি করুন: শুকনো আদা ব্লেন্ড করে গুঁড়ো করে নিন। এয়ারটাইট পাত্রে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
ক্ষতিগ্রস্ত আদা বাদ দিন: কেনার সময় আদা ভালো করে পরীক্ষা করে নিন। নরম, ছিদ্রযুক্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত আদা কিনবেন না।
নিয়মিত পরীক্ষা করুন: সংরক্ষণের সময় নিয়মিত আদা পরীক্ষা করে নিন। নষ্ট হয়ে যাওয়া অংশ ফেলে দিন।
উপসংহার:
উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি তাজা আদা দীর্ঘদিন টাটকা রাখতে পারবেন। মনে রাখবেন, আদা ঠান্ডা ও শুষ্ক পরিবেশে ভালো থাকে।