পুঁইশাক, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় শাক, যা সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
প্রকারভেদ:
লাল পুঁই: এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং এর পাতা গাঢ় লাল রঙের।
সবুজ পুঁই: পাতা সবুজ রঙের এবং লাল পুঁইয়ের চেয়ে পাতলা।
কলমি পুঁই: এটি লাল পুঁইয়ের মতো, তবে এর পাতা লম্বা এবং ডাঁটা লালচে।
গিমা কলমি: এটি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) উদ্ভাবিত একটি জাত। এটি খাড়াভাবে জন্মে এবং পাতা গাঢ় সবুজ।
অন্যান্য প্রকার:
কুমড়ার পুঁই: কুমড়ার পাতা দিয়ে তৈরি।
মুলা শাক: মুলা গাছের পাতা দিয়ে তৈরি।
পেঁপে শাক: পেঁপে গাছের পাতা দিয়ে তৈরি।
পুঁইশাকের উপকারিতা:
ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ: পুঁইশাক ভিটামিন এ, সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারের ভালো উৎস।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে: ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
রক্তাল্পতা দূর করে: আয়রন রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো: ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো।
পুঁইশাকের রান্না:
ভর্তা: পুঁইশাক ভেজে পানি ঝরিয়ে ভর্তা বানানো যায়।
সবজি: পুঁইশাক দিয়ে বিভিন্ন রকমের সবজি রান্না করা যায়।
স্যুপ: পুঁইশাক দিয়ে স্যুপ তৈরি করা যায়।
অমলেট: পুঁইশাক দিয়ে অমলেট তৈরি করা যায়।
পুঁইশাক একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর শাক যা বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।