জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া যাবে কি?

পাবলিশঃ about 7 months ago
দেখেছেনঃ 2147

জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া

জন্ডিস হলো একটি লিভারের রোগ। এই রোগে শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। বিলিরুবিন হলো একটি হলুদ রঙের রঞ্জক পদার্থ যা রক্তের মাধ্যমে লিভারে চলে যায় এবং সেখানে বিপাক হয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। জন্ডিস হলে বিলিরুবিন শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে চোখ, ত্বক, ও প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়।

জন্ডিসের চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো বিলিরুবিনের মাত্রা কমিয়ে আনা। জন্ডিসের চিকিৎসায় সাধারণত ওষুধ, বাধা প্রতিরোধক থেরাপি, বা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের প্রয়োজন হতে পারে।


জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া যাবে কিনা তা নির্ভর করে জন্ডিসের কারণ এবং রোগীর অবস্থার উপর। সাধারণত, জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া নিষেধ নয়। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান থাকে যা রোগীর সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়। তবে, জন্ডিসের কারণে যদি রোগীর লিভারের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, তাহলে ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


জন্ডিস হলে ডিম খাওয়ার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:

  • ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত।
  • প্রতিদিন মাত্র ২-৩টি ডিম খাওয়া উচিত।

জন্ডিস হলে ডিম ছাড়াও অন্যান্য সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার পান করা উচিত।

জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া যাবে কি?

হ্যাঁ, জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া যাবে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ থাকে যা জন্ডিস রোগীর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে, ডিম ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত। ডিম কাঁচা বা আধাসেদ্ধ খেলে জ্বর বা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।

জন্ডিসের কারণে শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ডিম খাওয়ার ফলে বিলিরুবিনের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। তবে, গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডিম খাওয়ার ফলে বিলিরুবিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে না।

এছাড়াও, জন্ডিসের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই, জন্ডিস হলে ডিম খাওয়ার কোনো সমস্যা নেই।

তবে, জন্ডিসের ধরন অনুযায়ী ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন, যদি জন্ডিসের কারণ ভাইরাস হয়, তাহলে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তবে, যদি জন্ডিসের কারণ ব্যাকটেরিয়া হয়, তাহলে ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এছাড়াও, যদি জন্ডিসের কারণে রোগীর ত্বক চুলকানি হয়, তাহলে ডিম খাওয়ার ফলে চুলকানি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই, এই ক্ষেত্রেও ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সাধারণভাবে, জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া নিরাপদ। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া যাবে কি?

আপনার যদি জন্ডিস বা অন্য কোনো চিকিৎসা অবস্থা থাকে তবে ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা অপরিহার্য।


জন্ডিস হল রক্তপ্রবাহে বিলিরুবিন জমা হওয়ার কারণে ত্বক এবং চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া একটি অবস্থা। বিলিরুবিন হল একটি হলুদ রঙ্গক যা লাল রক্তকণিকার স্বাভাবিক ভাঙ্গনের সময় উত্পাদিত হয়। যখন যকৃত সঠিকভাবে বিলিরুবিন প্রক্রিয়া করতে অক্ষম হয়, তখন এটি শরীরে জমা হতে পারে, যার ফলে জন্ডিস হতে পারে।


জন্ডিসের ক্ষেত্রে, অবস্থার অন্তর্নিহিত কারণ এবং তীব্রতার উপর ভিত্তি করে খাদ্যের সুপারিশ পরিবর্তিত হতে পারে। জন্ডিসে আক্রান্ত কিছু ব্যক্তির জন্য, বিশেষ করে যাদের লিভারের অবস্থা রয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা এমন একটি খাদ্যের সুপারিশ করতে পারেন যা লিভারে সহজ। এর মধ্যে এমন কিছু খাবার এড়ানো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা হজম করা বা বিপাক করা কঠিন, যেমন চর্বিযুক্ত এবং ভাজা খাবার।


ডিম উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি ভাল উত্স, তবে এতে চর্বি এবং কোলেস্টেরলও রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে কুসুমে পাওয়া যায়। যেসব ক্ষেত্রে জন্ডিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কম চর্বিযুক্ত খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়, সেখানে ব্যক্তিদের ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে, যা চর্বিমুক্ত এবং কম ক্যালোরি। যাইহোক, একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা একজন রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা ব্যক্তির অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা।


আবার, এটি জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে পৃথক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে এবং জন্ডিস সহ যেকোনো স্বাস্থ্যের অবস্থা পরিচালনার জন্য পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ অপরিহার্য।

ডিম সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন সমূহ

জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া যাবে কি?
ডিমের সাদা অংশের নাম কি?
ডিমের সাদা অংশে কোন প্রোটিন থাকে?
ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি?